শৃঙ্খলা বিধান কার্যের উদ্দেশ্যবলি

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় শৃঙ্খলা বিধান কার্যের উদ্দেশ্যবলি

শৃঙ্খলা বিধান কার্যের উদ্দেশ্যবলি

 

শৃঙ্খলা বিধান কার্যের উদ্দেশ্যবলি

 

শৃঙ্খলা বিধান কার্যের উদ্দেশ্যবলি

প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাকে শৃঙ্খলা বিধান কার্য বলে। Edwin B.Flippo এর ভাষায়, “শৃঙ্খলাবিধান কার্য হলো শাস্তি প্রয়োগের ব্যবস্থা যা কর্মীদেরকে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ থেকে সংযত রাখে।” নিম্নে শৃঙ্খলা বিধান কার্যের কিছু উদ্দেশ্য আলোচনা করা হলো :

উত্তম মানবীয় সম্পর্ক স্থাপন (Establish good human relation) :

উত্তম মানবীয় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় শৃঙ্খলা বিধান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কতুটুকু নিয়ম-নীতি ও আচরণবিধি মেনে চলবে, তা এই প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা বিধান কার্যের কার্যকারিতার ওপর নির্ভরশীল। প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা বিধান ব্যবস্থা কার্যকর থাকলে উত্তম কার্য পরিবেশ বিরাজ করে। এর ফলে কর্মীরা যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-নীতি ও আচরণবিধি মেনে কার্য সম্পাদন করতে পারে, যা কর্মীদের মাঝে উত্তম মানবীয় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করে।

উত্তম শ্রম-ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক ও শিল্প শান্তি প্রতিষ্ঠা (Establish good labor management relations and industrial peace):

সুষ্ঠু ও সু-শৃঙ্খল কার্য পরিবেশ উত্তম শ্রম-ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক ও শিল্পশান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক। প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু ও সু-শৃঙ্খল কর্মপরিবেশ বিরাজ করলে শ্রমিক কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-নীতি ও আচরণবিধি মেনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কার্য সম্পাদন করতে পারে যা উত্তম শ্রম-ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক ও শিল্প শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখে।

সু-নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন (Achieve specific goal):

শৃঙ্খলা বিধানের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো প্রতিষ্ঠানের সু-নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন নিশ্চিত করা। শৃঙ্খলা বিধানের পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠিত নিয়ম- নীতি ও আচরণবিধি মেনে কার্য সম্পাদনে নিশ্চিত করা যায়। আর এর ফলে প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের পথ সুগম হয়।

 

Google News
আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন

 

কর্মীদের দক্ষতার উন্নয়ন (Development of employees’ skill ) :

প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের দক্ষতার উন্নয়নেও শৃঙ্খলা বিধান ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত কর্মীগণ যদি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠিত নিয়ম-কানুন ও আচরণবিধি মেনে কার্যসম্পাদন করে তাহলে তাদের দক্ষতার উন্নয়ন সাধিত হয়।

সমন্বয়সাধন (Co-ordination):

শৃঙ্খলা বিধান পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে কর্মীদের আচরণগত ও সংগঠনগত পরিবর্তনের সমন্বয়সাধন করা হয়। এছাড়াও শৃঙ্খলা বিধানের পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কাজের সুষ্ঠু সমন্বয়সাধন করা সম্ভব হয়।

পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানো (Adopting with the changing environment):

বিশ্বায়নের এই যুগে প্রযুক্তি ও কলাকৌশলের দ্রুত পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়। প্রতিষ্ঠানকেও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য যুগের সাথে তালমিলিয়ে উৎপাদন প্রক্রিয়ায়ও পরিবর্তন আনায়ন করা প্রয়োজন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মীরা এই ধরনের পরিবর্তন সহজে মেনে নিতে চায় না বা খাপ খাইয়ে নিতে পারে না।

 

শৃঙ্খলা বিধান কার্যের উদ্দেশ্যবলি

 

এমতাবস্থায় প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু শৃঙ্খলা বিধানের পদক্ষেপ কার্যকর করা সম্ভব হলে শ্রমিক-কর্মীগণ প্রতিষ্ঠানের নিয়মনীতি মেনে সু-শৃঙ্খল উপায়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পারে এবং প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন সু-নিশ্চিত করতে পারে।

আরও দেখুন :

Leave a Comment