Site icon Human Resource Management Gurukul [ মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা গুরুকুল ] GOLN

শৃঙ্খলা বিধান কার্যের মূলনীতিসমূহ

শৃঙ্খলা বিধান কার্যের মূলনীতিসমূহ

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় শৃঙ্খলা বিধান কার্যের মূলনীতিসমূহ

শৃঙ্খলা বিধান কার্যের মূলনীতিসমূহ

শৃঙ্খলা বিধান কার্যের মূলনীতিসমূহ

কার্য পরিবেশ বজায় রাখার জন্য এবং প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য শৃঙ্খলা বিধান ব্যবস্থা কার্যকর করা খুবই জরুরি। নিম্নে শৃঙ্খলা বিধান কার্যের মূলনীতিসমূহ আলোচনা করা হলো:

 

চিত্র : শৃঙ্খলা বিধান কার্যের মূলনীতি

সু-নির্দিষ্ট নীতিমালা ও পদ্ধতি (Specific policy and procedure):

ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা বিধান কার্যকর রাখার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই। এই নীতিমালা কী হবে তা শ্রমিকসংঘ ও ব্যবস্থাপনা উভয় পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে চূড়ান্ত হওয়া প্রয়োজন। এইভাবে শৃঙ্খলা বিধান পদ্ধতি সু-নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হওয়া বাঞ্চনীয় ।

তত্ত্বাবধায়কগণের দায়িত্ব (Supervisor’s responsibility):

প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড সুষ্ঠু ও সু-শৃঙ্খলভাবে সম্পাদনের জন্য তত্ত্বাবধায়কগণের দায়িত্ব অনস্বীকার্য। তত্ত্বাবধায়কগণ কর্মীদের ভালো কাজের স্বরূপ যেমন বিভিন্ন আর্থিক ও অনার্থিক সুবিধা প্রদান করে ঠিক তেমনি খারাপ কাজের জন্য তিরস্কার ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। অতএব, প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড যথাযথ ও সু-শৃঙ্খলভাবে সম্পাদন করার জন্য তত্ত্বাবধান কাজ তত্ত্বাবধায়কদের ওপর ন্যস্ত করা উচিত এবং সংশ্লিষ্ট সকলকেই তাদের এই কাজ সম্পাদনের জন্য সহযোগিতা করা উচিত।

প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠিত নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অবহিত করণ (Informing about the established rules and regulations of the organization) :

প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠিত নিয়ম-কানুন বা নীতিমালা সম্পর্কে কর্মীদের অবহিত করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কোনো কাজে জবাবদিহি করার আগে বা শৃঙ্খলা বিধান ব্যবস্থা গ্রহণের আগে উক্ত কাজের সু-নির্দিষ্ট নীতিমালা বা নিয়ম-কানুন সম্পর্কে কর্মীদের অবহিত করা জরুরি। প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠিত নীতিমালা এবং কোনো অপরাধমূলক কাজের কারণে কি পরিমাণ শাস্তির ব্যবস্থা আছে সেই সম্পর্কে অবহিত না করে শৃঙ্খলা বিধান পদক্ষেপ গ্রহণ করা সমুচিত নয়।

অপরাধ প্রমাণ (Prove the offence):

আমরা জানি যে আইনের দৃষ্টিতে কোনো ব্যক্তি অপরাধী প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত তাকে অপরাধী বা দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো কর্মীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করার পূর্বে নিয়োগকারী বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে তা প্রমাণ করতে হবে।

 

আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন

 

অনেক সময় দেখা যায় যে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ অপরাধ প্রমাণ না করে কর্মীকে শাস্তি প্রদান করে থাকে। এতে প্রকৃত অপরাধীরা আরো গুরুতর অপরাধ করতে উৎসাহিত হয় এবং প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

বৈষম্যমূলক আচরণ পরিহার (Avoiding discriminating conduct):

শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী কর্মীকে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠিত নীতিমালা ও নিয়ম-কানুন অনুসারে শাস্তি ভোগ করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে কোনো প্রকার বৈষম্যমূলক আচরণ প্রদর্শন করা যাবে না। অর্থাৎ একই ধরনের অপরাধমূলক বা বিশৃঙ্খলা পূর্ণ কাজের জন্য একজন কর্মী যদি শাস্তি পায় আর অপরজন যদি মুক্তি পায় বা তুলনামূলক কম শাস্তি পায় তাহলে শৃঙ্খলা বিধান ব্যবস্থার প্রতি কর্মীদের আস্থা উঠে যাবে এবং প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

সুষ্ঠুও ন্যায়সংগত নীতিমালা (Principles of fairness) :

সুষ্ঠু ও ন্যায়সংগত নীতিমালা প্রণয়ন করতে না পারলে প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা বিধান ব্যবস্থা কার্যকর করা সম্ভব হবে না। প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু ও ন্যায়-সংগত নীতিমালা না থাকলে কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের কাজের প্রতি উৎসাহ ও আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এতে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খল কর্ম পরিবেশ তৈরি হয়।

পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা (Consideration of surroundings):

শৃঙ্খলা বিধান ব্যবস্থা গ্রহণের সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করতে হবে। এমনটা হতে পারে যে কোনো একটি বিশেষ মহলের প্ররোচনায় বা কোনো বিশেষ কারণে কর্মীরা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছে। আর এই জন্য ব্যবস্থাপনাকে পারিপার্শ্বিক অবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ ও উৎস খুঁজে বের করতে হবে।

 

 

সীমাবদ্ধতার বিধি (Statute Of limitations) :

প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল কার্য পরিবেশ বজায় রাখার জন্য কতগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এইসব পদক্ষেপগুলো যে সীমাবদ্ধতার উর্ধ্বে তা কিন্তু নয়। এইসব পদক্ষেপের মধ্যে অনেক ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। অতএব এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত হবে না যা কর্মীদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না ।

আরও দেখুন :

Exit mobile version