আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় সম্ভাব্য মানব মূলধন ব্যবস্থাপনা পরিমাপ ও তাদের ব্যবহার । যা বাউবি ওএসএমবিএ ২২০১ কৌশলগত মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা – ইউনিট ৫ এর অন্তর্গত।
সম্ভাব্য মানব মূলধন ব্যবস্থাপনা পরিমাপ ও তাদের ব্যবহার
প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মীদেরকে এখন ‘সম্পদ’ বলার পাশাপাশি ‘মূলধন’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। কারণ প্রতিষ্ঠানের কাজে নিয়োজিত মানুষগুলো আসলে প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকা, উন্নয়ন ও প্রসার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে তাদেরকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হবে। নিচে মানব মূলধন ব্যবস্থাপনার সম্ভাব্য পরিমাপন এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে তুলে ধরা হলো :
সম্ভাব্য পরিমাপন
- কর্মশক্তির সমন্বয়- পুরুষ, জাতি, বয়স, পূর্ণমেয়াদি, খণ্ডকালীন
- মেধা বন্টনের পরিমাণ
- ডিগ্রিধারী, পেশাগত বা কারিগরিভাবে যোগ্যও দক্ষ কর্মীদের দক্ষতা বিশ্লেষণ ও পরিমাপ
- শক্তি বিনষ্ট হওয়া ব্যবস্থাপনা ও কর্মীদের মধ্য থেকে বিভিন্ন ধরনের কর্মী প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যাওয়া।
- অনুপস্থিতি এবং অসুস্থতার হার
- শূন্যপদের গড় সংখ্যা
- সামগ্রিক পরিশোধ ব্যয় (বেতন ও সুবিধাদি)

সম্ভাব্য ব্যবহার- কার্য বাস্তবায়নে পর্যালোচনা
- বিচিত্রতার মাত্রা বিশ্লেষণ। বিভিন্ন বয়সের কর্মিসংখ্যার প্রভাব নির্ধারণ করা, যেমন অবসর গ্রহণের ফলে ক্ষতির পরিমাণ, খণ্ডকালীন কর্মীদের উপর প্রতিষ্ঠান কতটুকু নির্ভরশীল তা পরিমাণ করা ।
- কর্মীদেরকে ধরে রাখার সফলতার স্তর নির্দেশ করা। দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি কর্মীদের কর্মী সংখ্যা নির্দেশ করা । অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মীদের কার্যসম্পাদন বিশ্লেষণ পরিমাপ ৷
- প্রয়োজনীয়তার বিপরীতে, দক্ষতা পরিমাপ, সমস্যা বা দূর্বলতা নিয়ে কাজ করতে হবে বা ব্যবস্থা নিতে হবে এমন স্তর নির্দেশ করা ।
- প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের অবস্থান করার হার বাড়ানোর জন্য কোথায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে তা চিহ্নিত করা ।
- ব্যবস্থাপনাকে উপস্থিতি সন্তোষজনক করতে হলে সমস্যা চিহ্নিত করে দূর করতে হবে।
- সমস্যার স্থান চিহ্নিত করে তা দূর করতে হবে।
- উৎপাদনশীলতা বিশ্লেষণের জন্য উপাত্ত সরবরাহ করা।
আরও দেখুন :