আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় কর্মসংশ্লিষ্টতা ও সাংগঠনিক অঙ্গীকারের মধ্যে সম্পর্ক । যা বাউবি ওএসএমবিএ ২২০১ কৌশলগত মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা – ইউনিট ৬ এর অন্তর্গত।
কর্মসংশ্লিষ্টতা ও সাংগঠনিক অঙ্গীকারের মধ্যে সম্পর্ক
‘কর্মসংশ্লিষ্টতা’ ও ‘সাংগঠনিক অঙ্গীকার’ দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা যা কর্মীদের কার্যসম্পাদনে এবং কর্মীদের কাজের প্রতি আকৃষ্টকরণ ও ধরে রাখার বিষয়ে প্রভাব বিস্তার করে। তবে এ ধারণা দুটি অস্পষ্ট।
আমেরিকার কনফারেন্স বোর্ড কর্মসংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে বলেন, “কর্মসংশ্লিষ্টতা হলো সর্বোচ্চ সংযোগ, যেন একজন কর্মী তার প্রতিষ্ঠানকে অনুভব করে।” (A heightened connection that an employee feels for his/her organization) । অন্যদিকে, অঙ্গীকার হলো প্রতিষ্ঠানের কাজের প্রতি একজন কর্মীর সংকল্প যা তাকে কাজ করতে আগ্রহী করে তোলে ।
কর্মসংশ্লিষ্টতা ও অঙ্গীকারের মধ্যে নিবিড়, সম্পর্ক রয়েছে। উচ্চ সাংগঠনিক-অঙ্গীকার কর্মসংশ্লিষ্টতা বাড়ায় এবং উচ্চ কর্মসংশ্লিষ্টতা অঙ্গীকার বাড়ায়। কিন্তু লোকজন প্রতিষ্ঠানের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ না হয়েও কর্মসংশ্লিষ্ট হতে পারে। তবে কিছু জ্ঞানী ও দক্ষ কর্মী রয়েছে যাদেরকে দক্ষতা উন্নয়ন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করলে তারা প্রতিষ্ঠানে থেকে যাবে।
কর্মসংশ্লিষ্টতা ও সাংগঠনিক-অঙ্গীকারের মধ্যে সমন্বয় নিচে চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলো-
চিত্র : কর্মসংশ্লিষ্টতা ও সাংগঠনিক-অঙ্গীকারের প্রভাব এর মধ্যে সমন্বয়।
উক্ত চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে, প্রথম বাক্সে কর্মসংশ্লিষ্টতা ও-সাংগঠনিক-অঙ্গীকার দুটোই নিচু পর্যায়ের থাকে। এক্ষেত্রে কর্মীগণ অনেকটা উদাসীন থাকে। দ্বিতীয় বাক্সে দেখা যায় যে, কার্যসংশ্লিষ্টতা উচ্চ কিন্তু সাংগঠনিক-অঙ্গীকার কম।
তৃতীয় বাক্স বিশ্লেষণে দেখা যায়, কর্মীদের কর্মসংশ্লিষ্টতা কম কিন্তু সাংগঠনিক-অঙ্গীকার উচ্চ এবং সর্বশেষ বাক্স বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, এক্ষেত্রে কর্মসংশ্লিষ্টতা ও-সাংগঠনিক অঙ্গীকার উভয়ই উচ্চ। সুতরাং বলা যায় যে, কর্মসংশ্লিষ্টতা ও-সাংগঠনিক-অঙ্গীকারের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তাই উভয়টিই যেন কর্মীদের মধ্যে বিদ্যমান থাকে ব্যবস্থাপনাকে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আরও দেখুন :